You are currently viewing ঐক্যশ্রী স্কলারশিপ কাদের জন্য? – ভারতের যোগ্য শিক্ষার্থীদের স্কলারশিপ
স্কলারশিপ

ঐক্যশ্রী স্কলারশিপ কাদের জন্য? – ভারতের যোগ্য শিক্ষার্থীদের স্কলারশিপ

ভারতে শিক্ষার সুযোগ ক্রমশ বিস্তৃত হলেও অনেক মেধাবী শিক্ষার্থী অর্থনৈতিক সংকটের কারণে উচ্চশিক্ষা গ্রহণে পিছিয়ে পড়েন। পশ্চিমবঙ্গ সরকার এই সমস্যা সমাধানে বিভিন্ন শিক্ষাবৃত্তি চালু করেছে, যার মধ্যে অন্যতম ঐক্যশ্রী স্কলারশিপ। অনেক শিক্ষার্থী ও অভিভাবকের মধ্যে প্রশ্ন থাকে – “ঐক্যশ্রী স্কলারশিপ কাদের জন্য?” আজকের ব্লগে আমরা এই স্কলারশিপের যোগ্যতা, আবেদন প্রক্রিয়া এবং সুবিধাগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব।

ঐক্যশ্রী স্কলারশিপ কী?

ঐক্যশ্রী স্কলারশিপ হল পশ্চিমবঙ্গ সরকারের একটি বিশেষ উদ্যোগ, যা পশ্চিমবঙ্গ মাইনরিটি ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড ফাইন্যান্স কর্পোরেশন (WBMDFC) পরিচালনা করে। মূলত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মেধাবী ও আর্থিকভাবে দুর্বল শিক্ষার্থীদের আর্থিক সহায়তা প্রদানের জন্য এই স্কলারশিপ চালু করা হয়েছে। এটি বিভিন্ন স্তরের শিক্ষার্থীদের জন্য উপলব্ধ, যেমন:

মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থী

স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ের শিক্ষার্থী

টেকনিক্যাল ও ভোকেশনাল কোর্সের শিক্ষার্থী

ঐক্যশ্রী স্কলারশিপ কাদের জন্য?

এই স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে হলে শিক্ষার্থীদের কিছু নির্দিষ্ট যোগ্যতা পূরণ করতে হয়। নিচে বিস্তারিত শর্তাবলী দেওয়া হলো:

১. ধর্মীয় যোগ্যতা

ঐক্যশ্রী স্কলারশিপ শুধুমাত্র সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের শিক্ষার্থীদের জন্য প্রযোজ্য। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সংখ্যালঘু তালিকায় থাকা ধর্মীয় গোষ্ঠীগুলো হল:

🔹 মুসলিম 🔹 খ্রিস্টান 🔹 শিখ 🔹 জৈন 🔹 বৌদ্ধ 🔹 পার্সি (জরাথুস্ট্রীয়)

২. শিক্ষাগত যোগ্যতা

🔸 প্রাক-ম্যাট্রিক (Class 1-10): আগের পরীক্ষায় ন্যূনতম ৫০% নম্বর থাকতে হবে। 🔸 পোস্ট-ম্যাট্রিক (Class 11-12 ও উচ্চশিক্ষা): আগের পরীক্ষায় ন্যূনতম ৫০% নম্বর প্রয়োজন। 🔸 মেরিট কাম মিনস (স্নাতক ও স্নাতকোত্তর): পেশাদার কোর্স (যেমন B.Tech, MBBS, Pharmacy) পড়তে হলে আবেদন করা যাবে।

৩. অর্থনৈতিক যোগ্যতা

✔️ পরিবারের বার্ষিক আয় ২.৫ লাখ টাকার কম হতে হবে। ✔️ আয়ের উৎস যথাযথ নথি দিয়ে প্রমাণ করতে হবে।

৪. পশ্চিমবঙ্গের স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে

এই স্কলারশিপের সুবিধা কেবল পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষার্থীদের জন্য। আবেদনকারীর পশ্চিমবঙ্গের স্থায়ী বাসিন্দা হওয়া আবশ্যক

ঐক্যশ্রী স্কলারশিপের সুবিধাগুলো

এই স্কলারশিপ শিক্ষার্থীদের বিভিন্নভাবে সহায়তা করে, যেমন:

টিউশন ফি মওকুফ – নির্দিষ্ট কোর্সের জন্য সম্পূর্ণ বা আংশিক টিউশন ফি দেওয়া হয়।

আর্থিক সহায়তা – শিক্ষার্থীরা পড়াশোনার জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ সহায়তা পেয়ে থাকেন।

হোস্টেল ও অন্যান্য খরচ – উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে আবাসিক ও অন্যান্য খরচের জন্য আর্থিক সাহায্য দেওয়া হয়।

কীভাবে আবেদন করবেন?

ঐক্যশ্রী স্কলারশিপের জন্য অনলাইনে আবেদন করতে হয়। আবেদন প্রক্রিয়া নিম্নরূপ:

১. WBMDFC-এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে যান: 🔗 https://wbmdfcscholarship.org

২. নতুন আবেদনকারীরা রেজিস্ট্রেশন করুন।

৩. প্রয়োজনীয় নথিপত্র আপলোড করুন:

পাসপোর্ট সাইজ ছবি

মার্কশিট (শেষ পরীক্ষার)

পরিচয়পত্র (আধার কার্ড / ভোটার আইডি)

সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রমাণপত্র

ব্যাংক অ্যাকাউন্টের বিবরণ

৪. আবেদন জমা দিন এবং কনফার্মেশন মেসেজ সংরক্ষণ করুন।

শেষ কথা

যদি আপনি পশ্চিমবঙ্গের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের একজন শিক্ষার্থী হন এবং আপনার পরিবারের আয় সীমিত হয়, তবে ঐক্যশ্রী স্কলারশিপ আপনার জন্য একটি দুর্দান্ত সুযোগ। এটি শুধু পড়াশোনার খরচ কমায় না, বরং উচ্চশিক্ষার পথে এগিয়ে যেতে অনুপ্রেরণা যোগায়।

তাই দেরি না করে, যোগ্যতা থাকলে আজই আবেদন করুন এবং আপনার ভবিষ্যত আরও উজ্জ্বল করুন!

আপনার কোনো প্রশ্ন থাকলে কমেন্টে জানান, আমরা সাহায্য করতে প্রস্তুত!

Leave a Reply